এক নজরে পিএইচটি সেন্টার, খুলনা
পিএইচটি সেন্টার, গোয়ালখালী, খুলনা, সর্বপ্রথম খুলনা শহরে মৌলভী পাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ীতে ৪ মে ১৯৬২ ইং সনে দৃষ্টি ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণার্থে কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৩ ইং সনে বহুল প্রচারনার পর জানুয়ারী মাসে ৯ জন বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভর্তির মাধ্যমে কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। জমি অধিগ্রহন পূর্বক অত্র প্রতিষ্ঠান তৈরী করা হয় ১৯৬৪ সনে। অত্র প্রতিষ্ঠানের জমির পরিমাণ ৪.৪০ একর। ১৯৬৪ ইং সন থেকে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পৃথক ২টি বিদ্যালয় ও ৪টি কারিগরী শাখা চালু করা হয়। পরবর্তীতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বাঁশ ও বেতের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ চালু করা হয়।
একই বছরে ৩০ জন বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ও ৩০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রদের জন্য ২টি দ্বিতল ছাত্রাবাস ভবন নির্মিত হয়। ১৯৮৩ ইং সনে ২০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রীর জন্য দ্বিতল ছাত্রী নিবাস নির্মিত হয়। বর্তমানে ৯৪ জন দৃষ্টি ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী আবাসিক সুবিধা ভোগ করছে। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণার্থে বিদ্যালয়টিকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী হতে ৮ম ও পরবর্তীতে এসএসসি পর্যন্ত উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমানে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রাথমিকে ৪৭ মাধ্যমিকে ৪৪ ও উচ্চ মাধ্যমিকে ০৪ = ৯৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ১ম থেকে একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত আবাসিক সুবিধাসহ লেখা-পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বালিকাদের জন্য তিনতলা বিশিষ্ট আবাসিক ১ টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
পিএইচটি সেন্টার, সমাজসেবা অধিদফতর, গোয়ালখালী, খুলনা বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রতিবেদন নিম্নরূপঃ
১ |
প্রতিষ্ঠানের নাম |
: |
পিএইচটি সেন্টার, গোয়ালখালী, খুলনা। |
২ |
পিএইচটি সেন্টার, খুলনার কার্যক্রম শুরুর তারিখ |
: |
৪ মে’১৯৬২ |
৩ |
বর্তমান স্থানে কার্যক্রম শুরুর তারিখ |
: |
১৯৬৪ খ্রিঃ |
৪ |
জমির পরিমান |
: |
৪.৪০৩১ একর |
৫ |
ভবনের সংখ্যা |
: |
২টি ৩ তলা ভবনের ১টি পরিত্যাক্ত ১টি ২তলা ছাত্রাবাস ঝুঁকিপুর্ন |
৬ |
অনুমোদিত আসন সংখ্যা |
: |
আবাসিক -১৩০, অনাবাসিক-৫০ |
৭ |
অনুমোদিত আবাসিক আসন সংখ্যার বিভাজন |
: |
(ক) দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র সংখ্যা: ২০ জন। (খ) দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রী সংখ্যা: ৩০ জন। (গ) বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র সংখ্যা: ৩০ জন। (ঘ) বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্রী সংখ্যা: ৫০ জন। |
৮ |
বর্তমান ভর্তিকৃত আবাসিক নিবাসীর সংখ্যা |
: |
৯৫ জন। |
৯ |
নিবাসী ভর্তি |
: |
৭ হতে ১০ বছর বয়সের দৃষ্টি ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রথম শ্রেণিতে এবং পিইসি পাশ শিশুদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে নির্ধারিত আবেদন ফর্মে আবেদনের মাধ্যমে এবং ভর্তি কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাই পূর্বক নিবাসী ভর্তি করা হয়। |
১০ |
প্রতিষ্ঠানে নিবাসীদের অবস্থানকাল |
: |
নিবাসীদের বয়স ১৮ বছর অথবা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছেলে ও মেয়েদের এসএসসি পাশ এবং বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছেলেদের পঞ্চম শ্রেণি, বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়েদের এস এসসি পাশ পর্যন্ত পিএইচটি সেন্টারে অবস্থান করতে পারে। মেধাবী এবং এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) শ্রেণির জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের সদর কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে ১৮ বছর পূর্তির পরও অবস্থান করতে পারে। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস